Blog

Congue iure curabitur incididunt consequat

বাংলাদেশের ভবিষ্যত ও সেরা ১০০ ( ৪২-তম)- অনন্ত জলিল

কে এইচ এন রিসার্চ টিমঃ 

বোধ, মানুষকে বুদ্ধিমান গোত্রের জীব হিসাবে প্রমাণ করানোর সবিশেষ অস্ত্রদার্শনিক ঈশ্বরমিত্র তাই বলছেন, মানুষ বোধ নামক শক্তিশালী অনুপ্রাণের আশ্রয়দাতাও।

যেকোন জীবের মধ্যকার বোধ এর অংশগ্রহণ রয়েছে। সেখানে মানুষ পরিপাটি সাংস্কৃতিক মনবোধের বিচ্ছুরণে খোদ প্রকৃতিকে বলছে, আমাদের তৃতীয় চোখ বোধ হতে আগত এবং নৈতিকতার পথ ধরে তা পৃথিবীকে সুন্দর, স্বচ্ছ করে দেখায়। এখানে অসম্ভব বলেই কিছু নেই। তবে সম্ভব করতে হলে প্রতিটি মানবসত্তায় বোধের উপস্থিতি থেকেও কার্যত তার ব্যবহার নেই  বললেই চলে। চ্যালেঞ্জ হাতে নেয়ার উপলক্ষ্য তৈরি করে খুব সংখ্যক মানুষই তাই নিজেদেরকে প্রমাণ করতে পারছে।

এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশের এক সাংস্কৃতিক সত্তা লড়ছেন। তিনি জানান দিচ্ছেন কানাডিয়ান স্কলার ভেসা পেলটোনেন এর মত করেই। ভেসা যেমন বলছেন,  “there is no problems, only solutions”—- অন্যদিকে অনন্ত জলিল বলছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করাই আমার কাজ !

নেপোলিয়ন বলেছিলেন, “The word impossible is not in my dictionary.”—- একজন অনন্ত জলিলও যেন ঠিক তেমন করেই বলতে চান। বাংলাদেশের একজন সুস্বীকৃত ব্যবসায়ী হিসাবে ২০১০ সালে এসে তিনি নিজেকে অন্যরুপে পরিচিত করাতে চাইলেন। খোঁজঃ দ্য সার্চ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ ও অভিনয়শিল্পী হিসাবে তিনি জানাতে চেয়েছিলেন, অনন্ত জলিল এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করল, কোথায় গিয়ে থামবে বলা মুশকিল।

এই অনন্ত এক্সপ্রেসের চালক হতে পারাটার মধ্যেই তাঁর সাংস্কৃতিক নেতৃত্ব ফলত বিকশিত হয়। ২০২২ সালের দিকে এসে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বিকাশে বিপ্লবী সত্তা হয়ে তিনি তাঁর অর্থবহ চিত্রনাট্যকে বৈশ্বিক রুপ দিতে যেয়ে সিনেমাটোগ্রাফি, সম্পাদনাকে অনন্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন তিনি ধারা ভেঙ্গে শুরু করেছিলেন, যা তাঁর নেতৃত্বগুনে আজ প্রস্ফুটিত। তাঁর অভিনীত ও সার্বিক প্রযোজনায়  ভাঙ্গা ঢেও, দ্য স্পিড, মোস্ট ওয়েলকাম, নিঃস্বার্থ ভালবাসা, মোস্ট ওয়েলকাম-২, দিনঃ দ্য ডে’র মত চলচ্চিত্রগুলো প্রচলিত ধারা ভাঙ্গার প্রয়াস হিসাবে তাই শুধু উত্তীর্ণ হয় না। জেতায় একটি বিখ্যাত মতবাদ কে। যখন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট বলেছিলেন,  “There is nothing impossible to him who will try.” – অনন্ত জলিল বারংবার করে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটকে আঙ্গুল দিয়ে নির্দেশ করে বলতে চেয়েছেন, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। 

অনন্ত জলিলের পৈত্রিক আবাস ছিল মুন্সীগঞ্জে। তাঁর জন্মতারিখ হিসাবে সূত্র দাবী করছে, তারিখটি ১৭ এপ্রিল। পিতার নাম, মরহুম আব্দুল গফুর। মাতা প্রয়াত আয়শা আক্তার। বাবা ও মা তাঁকে শৈশবে সঞ্জু বলে ডাকত। তিনি দুই সন্তানের জনক। স্ত্রী খাদিজা পারভিন— যিনি বর্ষা নামে খ্যাত।  বাংলাদেশি বিখ্যাত অভিনেত্রী।

অনন্ত জলিল ও লেভেল আর এ লেভেল করেছেন ঢাকার অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে। এরপর ম্যানচেস্টার, ইংল্যান্ড থেকে বিবিএ এবং ফ্যাশন ডিজাইনের ওপর পড়েছেন বলে জানা যায়। 

অনন্ত জলিল ফলত একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এজিআই ও এবিআই গ্রুপের প্রধান কর্ণধার তিনি। এছাড়াও তিনি মোনসুন ফিল্মস নামক একটি প্রোডাকশান হাউজ পরিচালনা করে আসছেন। কমার্শিয়াল ইমপরট্যান্ট পারসন, তথা সিআইপি হিসাবে অনন্ত জলিল অর্থনৈতিক বলয়ে আদৃত নাম। সুত্রমতে, তাঁর প্রতিষ্ঠাগুলোয় প্রায় ১২০০০ পোশাকশিল্প কর্মী কাজ করে। 

নেতৃত্বের মৌলিকগুনাবলির মধ্যে দক্ষতা, দেশপ্রেম, চরিত্র, সততা ও দূরদৃষ্টি থাকা অনিবার্য। সাংস্কৃতিক পর্যায়ের প্রতিনিধি হয়েও একজন অনন্ত জলিলের মধ্যকার বিশেষ পাঁচটি গুন রয়েছে। যা তাঁকে অন্যদের চেয়ে পৃথক করে রাখে। পেশাজীবনে তাঁর সততা তাঁকে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী করতে পেরেছে বলে অনুমিত হয়। দক্ষতা কিংবা মেধা না থাকলে তিনি এতদূরে আসতে পারতেন না বলে কথিত আছে। তিনি প্রবল দেশাত্মবোধে আপ্লুত হওয়া এক মানবিক সত্তা, যেখানে তাঁর আয়োজনে চলতে থাকা প্রত্যেকটি চলচ্চিত্রে প্রিয় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সপ্রতিভ আভায় যেন প্রতিফলিত হয়, সেদিকে তাঁর দৃষ্টি থাকে।

অনন্তের আপকামিং চলচ্চিত্র নেত্রীঃ দ্য লিডার সিনেমাটিতেও বাংলাদেশকে নতুন করে তুলে ধরার প্রাণান্ত চেষ্টা থাকবে বলে গবেষণা সূত্র দাবী করছে। অনন্ত চরিত্রের শ্রেষ্ঠ দিক, তিনি ধুমপান করেন না। এলকোহলিক নন। তিনি মনেপ্রাণে একজন ধার্মিক সত্তাও। নেতৃত্ব দেয়ার একটা ক্ষমতা তাঁর মধ্যে আছে। তিনি বর্তমান নিয়ে ঘাটতে পছন্দ করেন। যদিও প্রখর দূরদৃষ্টির মাধ্যমে তিনি এমন করেই বর্তমানকে সাজান, যাতে করে ভবিষ্যতের পথ মসৃণ হয়। সঙ্গত যুক্তিতে ঘটনা প্রবাহের ওপর দ্রুত সিদ্ধান্ত দিয়ে নেতৃত্বের যৌগিক পর্যায়ের গুনাবলিকেও তিনি সঙ্গী করতে পেরেছেন বলে মনে করার সুযোগ আছে। 

গ্রিক দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন, “We can easily forgive a child who is afraid of the dark; the real tragedy of life is when men are afraid of the light.”—- এদিকে,  একজন অনন্ত জলিল হল, সেই অদম্য আলোকিত চরিত্র যিনি প্রজন্মকে বলতে চান, তোমরা অন্ধকারকে আর ভয় পেও না, নৈতিকতার পথ ধরে কর্ম কর আর আলোর পথে চল। আবার এই অনন্তই মহান হয়ে পড়েন, যখম মেধাবী দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদেরকে নিজের কর্মস্থলে কাজ করবার সুযোগ দিয়ে বলেন, তোমাদের চোখের দৃষ্টি আমি ফেরত দিতে পারছি না, কারণ, আমি ঈশ্বর নই, কিন্তু একটি সড়কের পথিক করে দিতে পারছি, যেখানে জীবনের যান্ত্রিকতায় নিদেনপক্ষে একটি গন্তব্য নির্ধারিত হয়। 

অনন্ত জলিল সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে ৩টি এতিমখানা নির্মাণ করেছেন। মিরপুর ১০ নং , বাইতুল আমান হাউজিং ও সাভার মধুমতি মডেল টাউনে আছে এতিমখানাগুলো। এ ছাড়াও সাভারের হেমায়েতপুরের ধল্লা গ্রামে সাড়ে ২৮ বিঘার উপর একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন অনন্ত জলিল।

এই বিশ্বে অনন্ত জলিলদের ধারাবাহিক সামাজিক উদ্যোগকে হয়তো স্বাগত জানিয়েই প্লেটো কিছু বলতে চেয়েছিলেন। কারণ, ঈশ্বরমিত্র যখন বলেন, সমাজ অনেকটা শয়তানের মত, তোমাকে হারাতে চায়, কিন্তু তুমি জিতে গেলেই সেই সমাজ পথ খুঁজে পায়। প্লেটো তাই বলে গিয়েছিলেন,  Knowledge without justice ought to be called cunning rather than wisdom.”— সামাজিক ন্যয়বিচার করার দারুণ একটা উদাহরণ হল অনন্ত জলিল। নৈতিকতাবিরুদ্ধ জীবন ধর্ম তাঁকে ছুঁয়ে যায় না। তিনি একজন উঁচু স্তরের বিচারকও বটে। 

আপনি কিছুই জানেন না এটা জানার মধ্যেই প্রকৃত জ্ঞান বিদ্যমান——-বলেছিলেন পথিকৃৎ দার্শনিক সক্রেটস। একজন অনন্ত জলিল তাঁর পথচলায় এমন মতবাদের ওপর দাঁড়িয়ে শিখতে চান, জানতে চান। এমন আগ্রহ তাঁকে আজ থেকে দুই যুগের মধ্যে অতি মাত্রায় পরিণত করবে বলে চাউর আছে। বাংলাদেশের সমাজকে, কৃষ্টিকে তিনি অনেক কিছু দিতে পারবেন বলে মনে করা হয়। দেশের প্রায় তিন হাজার চল্লিশজন গুনীমানুষের ওপর গবেষণা করে দেখা যাচ্ছে যে, অনন্ত জলিল বাংলাদেশের অন্যতম ভবিষ্যৎ। সাংস্কৃতিক বিবেচনায়, তাঁকে বাদ রেখে ইতিহাসের পাতার লিখিত ধারাভাষ্য বর্ণিত হলে তা অপূর্ণ হয়ে যায়। ভাল মানুষ হিসাবে ইতিহাস সংকলন করার মধ্য দিয়েই অনন্তের জন্য সক্রেটস এর আরেকটি উক্তি দিয়ে বলা যায় যে, No evil can happen to a good man, either in life or after death. He and his are not neglected by the gods.

অনন্ত জলিল চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন। বারংবার করে বলতে চাইছেন, দেশীয় শিল্প ও সাহিত্যের বিকাশে আমরা বিপ্লবী চরিত্র চাই। চলচ্চিত্রের মত গণমাধ্যমের দ্বারা আমরা বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পারি। সেই চেষ্টা করে যেতে হবে। তবে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে তা না করতে পারলে, সেটাকে কাজ বলা যায় না। সৃজনশীল কর্মের মধ্য দিয়ে তাই নিজের জাত চেনানোর মধ্য দিয়ে তা অর্জিত হতে পারে, তেমন তাগিদ জলিল রাখতে সচেষ্ট হয়েছেন। তিনি যেন এরিস্টটলের সেই উল্লেখযোগ্য মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত, যখন ওই গ্রিক দার্শনিক বলেছিলেন, Quality is not an act, it is a habit.

অনন্ত জলিল এক্সপ্রেস বাংলাদেশের সংস্কৃতির জমিনের ওপর দিয়ে চলছে। তাঁর চরিত্রে পাগালামো টা আছে; এরিস্টটল যখন বলেছিলেন, There is no great genius without some touch of madness. অন্যদিকে ঈশ্বরমিত্র বলছেন, তুমি ধারা ভাঙতে প্রায়শই অপ্রকৃতিস্থ হও, ওটাই তোমার ক্ষমতা হয়ে দাঁড়াবে। 

 

কে/৭৮৭-৯০

 

 

 

5 Comments

  1. Alex TM
    April 1, 2015 at 20:27
    Reply

    Dolorum nascetur quibusdam bibendum nesciunt torquent vehicula, nostra? Nisl? Excepteur repellat provident, laboriosam! Nullam vel.

    • Alex TM
      April 1, 2015 at 20:28
      Reply

      Corporis quasi dicta voluptates, rerum vero eos quaerat, quo aliqua voluptates suspendisse quod tempus! Interdum.

      • Alex TM
        April 1, 2015 at 20:28
        Reply

        Egestas molestias erat impedit blanditiis quam, proident rutrum iste? Illum? Aenean proin. Nostrum pretium, commodi.

Leave a Reply

Close
Close